Skip to main content
Soumi Basu

    Soumi Basu

    সোমেন চন্দের 'সংকেত' গল্প সম্পর্কে একটি আলোচনা...
    সোমেন চন্দের 'ইঁদুর' গল্প সম্পর্কে একটি আলোচনা...
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখিত 'রক্তকরবী' নাটকের 'কিশোর' চরিত্র সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা...
    বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মেঘমল্লার' গল্প সম্পর্কে একটি আলোচনা...
    'তিতাস একটি নদীর নাম' উপন্যাস সম্পর্কিত একটি আলোচনা...
    বিভিন্ন বিষয়ে ফেলুদার পড়াশোনা এবং তাঁর জ্ঞানতৃষ্ণা প্রকাশিত হয়েছে;সত্যজিৎ রায় লিখিত ফেলুদা কেন্দ্রিক পঁয়ত্রিশটি গল্প-উপন্যাসে। ফেলুদার জানার পরিধি সম্পর্কিত একটি বিস্তৃত আলোচনাই মুখ্যত এই প্রবন্ধটির উদ্দেশ্য।
    শুরুতে বাংলাদেশ কি আদৌ বাংলাদেশ হতে চেয়েছিল? জিন্না আর নেহরুর কাটাকুটি খেলায় আমি অন্তত কোথাও বাংলাদেশের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম পাওয়া যায় নি। ভারত-পাকিস্তান ভাগ হল, ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা হল দুই দেশ। বাংলাদেশের বাঙালীদের বেশিরভাগ,... more
    শুরুতে বাংলাদেশ কি আদৌ বাংলাদেশ হতে চেয়েছিল? জিন্না আর নেহরুর কাটাকুটি খেলায় আমি অন্তত কোথাও বাংলাদেশের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম পাওয়া যায় নি। ভারত-পাকিস্তান ভাগ হল, ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা হল দুই দেশ। বাংলাদেশের বাঙালীদের বেশিরভাগ, রাজাকাররা ছাড়া, বোধহয় বঙ্গভঙ্গ কেউ চাননি। চাওয়ার কারণও ছিল না। সে কারণেই অবিভক্ত বাংলার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন শরত্ বসু, হুসেইন সইদ সোহরাবর্দি, কিরণ শঙ্কর রায় থেকে আবুল হাসিম, সত্যরঞ্জন বক্সী কিংবা মহম্মদ আলি চৌধুরীরা। এটা ঠিক ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন সফল হওয়ার পরেও, হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সামনে আসা শুরু করেছিল। তবে বাংলাদেশের বাঙালী অন্তত পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্তি চাননি। কারণ অবিভক্ত বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই। এবং সেক্ষেত্রে ক্ষমতার রাশ তাঁদের হাতেই বেশিরভাগ থাকত, সেটা অনুমেয়। কিন্তু তা হল না। বাংলাদেশ পড়ল, সমধর্ম কিন্তু ভিন সংস্কৃতির শাসকের কব্জায়। পাঁচ বছরের মধ্যেই তাই ভাষা আন্দোলন করতে বাধ্য হল পূর্ব বাংলা। বাংলাদেশের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের শুরু সাতচল্লিশ থেকেই। উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত 'চিলেকোঠার সেপাই',বাংলা কথাসাহিত্য ধারায় মাইলস্টোন হয়ে যাওয়া এই উপন্যাসটি এই অস্হিরতার জ্যান্ত দলিল। শৃঙ্খল ছাড়া সত্যিই যে হারানোর কিছু নেই তা প্রমাণ করেছে উপন্যাসেরর কেন্দ্রীয় চরিত্র ওসমান। ওসমান গণির বিচ্ছিন্নতা, আত্মমন্ত্রণা ও একাকিত্বের গভীর অসুখ,যা ভেসে গেছে রাজপথে খিজিরের রক্ত আর মিছিলের স্রোতে,চিলেকোঠার দূর্গ থেকে বেরিয়ে এসেছে চিলেকোঠার সেপাই। পদক্ষেপ ফেলেছে অজস্র পথের লক্ষে। ওসমানের এই পরিবর্তনকে কালের হাতে সঁপেছেন ইলিয়াস। এই প্রবন্ধে আমরা 'চিলেকোঠার সেপাই'-এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সাহিত্যে রাজনৈতিক ঘটনাবলীর প্রভাবকে  এবং বাংলাদেশের অস্তিত্বের শিকড়কে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব।
    ভারী বুটের শব্দ, এলোমেলো ত্রস্ত পদক্ষেপণ, দেওয়াল লিখনের ভিজে লাল রঙে ছিটকে লাগা টাটকা রক্তছোপ, বাতাস ভারী বারুদের গন্ধে... সময়টা '৭০'! নতুন সমাজ গড়ার লড়াইয়ে সামিল, 'অনিমেষ-সুবাস-ব্রতী' দের দ্বারা ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হোল একটি নতুন... more
    ভারী বুটের শব্দ, এলোমেলো ত্রস্ত পদক্ষেপণ, দেওয়াল লিখনের ভিজে লাল রঙে ছিটকে লাগা টাটকা রক্তছোপ, বাতাস ভারী বারুদের গন্ধে... সময়টা '৭০'! নতুন সমাজ গড়ার লড়াইয়ে সামিল, 'অনিমেষ-সুবাস-ব্রতী' দের দ্বারা ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হোল একটি নতুন নাম় -- 'নকশাল আন্দোলন। স্বাধীনতা উত্তর টালমাটাল সময়ে,তীব্র মতাদর্শ গত বিভেদে তখন চাপানউতোর লাল নিশানের অন্দরমহলে। চারু মজুমদারের কলম জন্ম দিল আট ঐতিহাসিক দলিলের। বন্দুকের নলই শক্তির উৎস প্রমাণ করে বিপ্লবী ও সংশোধনবাদীদের মাঝে আঁকলো বিভাজন রেখা। ১৯৬৭'র ২৫শে মে -- ঘটল নকশালবাদী অভ্যুত্থান। এই অস্থির সময়ের গর্ভযন্ত্রণার ফসল তৎকালীন কবিতা; যার সাথে পরতে পরতে জড়িয়ে আছে সত্তরের দিন বদলের স্বপ্ন-সংগ্রাম-সাধনা­। যে কবিতায় সমাকলন ঘটেছে ক্রোধ-কামনা- বিষাদ - বিশ্বাস -জিজ্ঞাসা - যন্ত্রণা -বিপন্নতা- অঙ্গীকার -জীবন-মৃত্যু-বিপ্লব আর প্রেমের! প্রতিবাদে-প্রতিরোধে কবিতাগুলি সমকালীন যাপনচিত্র। সমকাল প্রত্যক্ষ করেছে তাদের যৌবনের স্পর্ধাকে আর উত্তরকাল তাদের পেয়েছে সরোজ দত্ত,পার্থ বন্দোপাধ্যায়, মনিভূষণ ভট্টাচার্য, বিপুল চক্রবর্তী, সৃজন সেন,সব্যসাচী দেব, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, নবারুণ ভট্টাচার্য প্রমুখের কলমে। স্বাধীনতা উত্তরকালে নকশাল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে লেখা কবিতা,সত্তরের গনগনে আঁচ,যা কালিতে ছাপা হোলেও,যার সৃষ্টির ইতিহাস প্রোথিত আছে বুলেটের ওষ্ঠে-- সেই প্রতিবাদী চেতনাকে ব্যাখ্যা ও বিচার,আমার এই গবেষণা পত্রের মূল উদ্দেশ্য।