কর্কোটক
কর্কোটক | |
---|---|
অন্তর্ভুক্তি | নাগ |
গ্রন্থসমূহ | মহাভারত |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা | |
সহোদর | শেষনাগ, বাসুকী, মনসা, তক্ষক এবং নাগ বংশের বাকিরা |
কর্কোটক (সংস্কৃত: कर्कोटक) হিন্দুধর্মে একজন নাগ রাজা, কশ্যপ ও কদ্রুর সন্তানদের মধ্যে একজন। তিনি নিশাধ রাজ্যের কাছে একটি বনে বাস করতেন বলে মনে করা হয়। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, তিনি রাজা নলকে দংশন করে কুঁজো এবং কুৎসিত আকারে রূপান্তরিত করেন।[১]
কিংবদন্তি
[সম্পাদনা]কর্কোটক একবার ভাগ্যের খেলায় দেব-ঋষি নারদকে প্রতারিত করেছিল। রাগান্বিত হয়ে নারদ তাকে অভিশাপ দেন যে যতক্ষণ না রাজা নল তাকে রক্ষা করবেন ততক্ষণ তিনি বনে নিশ্চল অবস্থায় থাকবেন। মহাভারতে উল্লেখ আছে যে, যখন বনে দাবানলের সৃষ্টি হয় তখন তাকে উদ্ধার করার জন্য নলেকে ডাকা হয়েছিল। নিজেকে একটি বুড়ো আঙুলের আকারে ছোট করে, তিনি নলকে তাকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন এবং রাজা অবিলম্বে সাপটিকে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। এভাবে তিনি নারদের অভিশাপ থেকে মুক্তি পান। কর্কোটক রাজাকে দশ ধাপ এগিয়ে যেতে বলেন এবং তিনি তা করার পর তাকে দংশন করলেন, যার ফলে তিনি কুৎসিত হয়ে উঠলেন। সর্প ব্যাখ্যা করলো যে সে রাজাকে কামড় দিয়েছিল কারণ দুষ্ট কলি তার উপর ভর করেছে এবং তার জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। তিনি নলকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি কোন বিপদের সম্মুখীন হবেন না এবং তার শরীরে বিষ থাকার সাথে সাথে যুদ্ধে অপরাজিত থাকবেন। এরপর তিনি নলকে অযোধ্যার রাজা ঋতুপর্ণের কাছে যেতে বলেন এবং তার জন্য বাহুক নামে একজন সারথি হিসেবে কাজ করতে বলেন।[২] তিনি রাজাকে বলেছিলেন ঋতুপর্ণকে অশ্বার্দয় মন্ত্র শেখাতে এবং বিনিময়ে অক্ষরদয় মন্ত্র শিখতে, তারপরে তিনি তার পরিবারের সাথে মিলিত হবেন। তিনি নলকে দুটি পোশাকও প্রদান করেছিলেন, যা তিনি তার আসল রূপ ফিরে পেতে পরতে পারেন।[৩][৪] এটা বিশ্বাস করা হয় যে কর্কোটকে বাস করলে অসুর কলি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।[৫]
হিন্দু সূত্রে তাকে আট নাগ রাজের মধ্যে গণ্য করা হয়।[৬]
তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম
[সম্পাদনা]নাগ মেনাক অর্ঘে, কার্কোটককে সাদা রঙের এবং মহান হ্রদের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বলে ধ্যানকারীর মনোছবিতে কল্পনা করা হয়।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ www.wisdomlib.org (২০১২-০৬-২৯)। "Karkotaka, Karkoṭaka, Kārkoṭaka: 23 definitions"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৩।
- ↑ Doug Niles (১৮ আগস্ট ২০১৩)। Dragons: The Myths, Legends, and Lore। Adams Media। পৃষ্ঠা 131–132। আইএসবিএন 978-1-4405-6216-7। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ www.wisdomlib.org (২০১৯-০১-২৮)। "Story of Karkoṭaka"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৩।
- ↑ Bane, Theresa (২০১৬-০৪-২৫)। Encyclopedia of Beasts and Monsters in Myth, Legend and Folklore (ইংরেজি ভাষায়)। McFarland। পৃষ্ঠা 184। আইএসবিএন 978-0-7864-9505-4।
- ↑ www.wisdomlib.org (২০২১-০৮-১৪)। "Ashtanaga—Eight important Nagas [Chapter 5.2]"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৩।
- ↑ Zhang, Yisun (張怡蓀) (১৯৯৩)। Great Tibetan Dictionary (བོད་རྒྱ་ཚིག་མཛོད་ཆེན་མོ།་ 藏漢大辭典)। Minorities Publishing House।