ইমমরট্যাল
ইমমরট্যাল | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | বারজেন, নরওয়ে |
ধরন | ব্ল্যাক মেটাল |
কার্যকাল | ১৯৮৯-২০০৩, ২০০৬-বর্তমান |
লেবেল | নিউক্লিয়ার ব্ল্যাস্ট রেকর্ডস, অসমোস প্রডাকশন |
সদস্য | আব্বাহ দূম ওকাল্টা ডেমোনাজ দূম ওকাল্টা হোর্গ অ্যাপলিওন |
ওয়েবসাইট | immortalofficial |
ইমমরট্যাল নরওয়ের বারজেন এলাকার একটি ব্যান্ড। অ্যাম্পুটেশন ব্যান্ড ভেঙ্গে আব্বাহ দূম ওকাল্টা ও ডেমোনাজ দূম ওকাল্টা এই ব্যান্ডটা গঠন করেন। [১]
পরিচিতি
[সম্পাদনা]১৯৮৮ সালে গঠিত হওয়া ডেথ মেটাল ব্যান্ড ওল্ড ফিউনারেল ব্যান্ডের মাধ্যমে আসলে ইমমরট্যাল ব্যান্ডের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়, যার সদস্য ছিলেন আব্বাহ দূম ওকাল্টা ও ডেমোনাজ দূম ওকাল্টা। আব্বাহ আবার ১৯৮৯ সালে আরেকটা ব্যান্ড অ্যাম্পুটেশন গঠন করেন যারা দু’টা ইপি বের করে ইমমরট্যাল হওয়ার আগে।এই নতুন ব্যান্ডে অ্যাম্পুটেশন ও ওল্ড ফিউনারেল ২টি ব্যান্ডেরই সদস্যরা আছেন।যদিও ওল্ড ফিউনারেল ব্যান্ডের সদস্যরা তাদের ব্যান্ডটাকে ধরে রাখতে চান, তবে ইমমরট্যালের প্রথম ইপি বের হওয়ার আগেই তারা ভেঙ্গে যায়। যদিও তাদের প্রথম অ্যালবামটা ছিল প্রথাগত ব্ল্যাক মেটাল অ্যালবাম, কিন্তু অ্যাট দ্যা হার্ট অব উইন্টার অ্যালবামে তারা জার্মান থ্রাশ মেটালের সাথে ব্ল্যাক মেটাল মিশিয়ে নতুন পরীক্ষা চালান।অনেক মেটাল ব্যান্ড তাদেরকে আদর্শ হিসেবে মানলেও, ইমমরট্যাল অন্যান্য ব্ল্যাক মেটাল ব্যান্ডদের মতো স্যাটানিজমকে অবলম্বন করে না। সেরা ব্ল্যাক মেটাল ব্যান্ডদের তালিকায় তারা জায়গা করে নেন তাদের কাজ দিয়ে।পিউর হলোকাস্ট, ব্যাটেল ইন দ্যা নর্থ ও সন অব নর্দান ডার্কনেস ইত্যাদি ক্ল্যাসিক অ্যালবাম তাদের মর্যাদাটার জায়গা বানাতে সাহায্য করে।ব্লাসুরখ নামের এক কাল্পনিক স্থান যেখানে যুদ্ধ ও ভোগান্তি চলতে থাকে ও রাভেন্ডার্ক ঐ স্থানটির রাজা এবং সেটাকে কেন্দ্র করে তাদের গান রচিত হয়েছে।তাদের অ্যালবামের প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জা এবং উপস্থাপনা তাদের উল্লেখযোগ্যতা প্রমাণ করে।ব্যান্ডটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিতর্ক থেকে দূরে রাখে যেটা আবার ব্ল্যাক মেটাল ব্যান্ডদের মূল বৈশিষ্ট্য।তবে তাদের পুরানা সদস্য রিদম গিটারিস্ট জোর্ন চার্চে আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত ছিল এবং তাদের আরেক সদস্য এরিক ১৯৯৯ সালে আত্নহত্যা করে। আস্তে আস্তে ইমমরত্যাল আন্ডারগ্রাউন্ডে জনপ্রিয়তা অর্জন করে তাদের ভিডিও কল অব দ্যা উইন্টারমুনের জন্য।১৯৯৫ সালে ব্যান্ডটি আরো দু’টি ভিডিও বের করে যেখানে মেইহেম ব্যান্ডের ড্রামার হেলহ্যামারকে দেখা গেছে।তারা তাদের ব্যান্ডে হেলহ্যামারকে যোগ দিতে অণুরোধ করলেও তিনি তা প্রত্যাখান করে।২০০৩ সালে ইমমরট্যাল ব্যান্ড নানা ব্যক্তিগত কারণে ভেঙ্গে যায়। যাইহোক আব্বাহ দূম ওকাল্টা ও ডেমোনাজ দূম ওকাল্টা ১৯৯৫ সালে আরেকটা ব্যান্ড গঠন করেন যার নাম আই। ২০০৬ সালে ইমমট্যাল আবার একত্রিত হয় ।২০০৭ সালে তারা বিশ্বের নান স্থানে কনসার্ট করে।আওরা নইর ব্যান্ডের বেজিস্ট অ্যাপলিওন তাদের সাথে কাজ করে তখন। [২] ২০০৮ সালের মার্চে তারা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফর করে প্রথমবারের মতো।২০০৯ সালে ২৫শে সেপ্টেম্বর ব্যান্ডটির অ্যালবাম অল শেল ফল বের হয়। [৩]
প্রকাশিত অ্যালবাম
[সম্পাদনা]স্টুডিও অ্যালবাম
[সম্পাদনা]- ডায়াবলিক ফুলমুন মিস্টিসিজম (১৯৯২)
- পিউর হলোকাস্ট (১৯৯৩)
- ব্যাটেল ইন দ্যা নর্থ (১৯৯৫)
- ব্লিজার্ড বিস্টেস (১৯৯৭)
- অ্যাট দ্যা হার্ট অব উইন্টার (১৯৯৯)
- ড্যামড ইন ব্ল্যাক (২০০০)
- সন অব নর্দান ডার্কনেস (২০০২)
- অল শেল ফল (২০০৯)
ইপি
[সম্পাদনা]- ইমমরট্যাল (১৯৯১)
বিভক্ত অ্যালবাম
[সম্পাদনা]- ট্রু কিং অব নরওয়ে
ডেমো
[সম্পাদনা]- অ্যাচিভ দ্যা মাল্টিলেশন (১৯৮৯)
- স্লটার ইন দ্যা আর্মস অব গড (১৯৯০)
- দ্যা নর্দান ইউপিন ডেথ (১৯৯০)
- সাফফোক্যাট (১৯৯১)
বর্তমান সদস্য
[সম্পাদনা]- আব্বাহ দূম ওকাল্টা
- ডেমোনাজ দূম ওকাল্টা
- হোর্গ
- অ্যাপলিওন
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ http://www.metal-archives.com/band.php?id=14401
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
- ↑ New Album Release Date". http://www.immortalofficial.com/oldnews.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে. Retrieved 2009-08-03