আর্নস্ট গ্রেফেনবার্গ
আর্নেস্ট গ্রাফেনবার্গ | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৮ অক্টোবর ১৯৫৭ New York City, United States | (বয়স ৭৬)
সমাধি | Ferncliff Cemetery |
জাতীয়তা | জার্মান |
পেশা | চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী |
দাম্পত্য সঙ্গী | Rosie Waldeck () |
আর্নস্ট গ্রেফেনবার্গ (২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮১ - ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৭) ছিলেন একজন জার্মান ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি মূলত নারীর যৌনতার উপর তার গবেষণার জন্য পরিচিত। তার নামে বিখ্যাত "জি-স্পট" (Gräfenberg Spot বা G-Spot) শনাক্ত করা হয়েছে। এটি মহিলাদের যোনি প্রাচীরে একটি বিশেষ সংবেদনশীল অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। [১] [২] [৩] [৪]
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]আর্নস্ট গ্রেফেনবার্গ ১৮৮১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জার্মানির অ্যাডারস্লেবেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯০৭ সালে জার্মানির গ্যাটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি ডিগ্রি অর্জন করেন। গ্রেফেনবার্গের আগ্রহ ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায়, বিশেষত চোখ এবং প্যাথোলজির ক্ষেত্রে। পরবর্তী সময়ে তিনি স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যার দিকে মনোনিবেশ করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]গ্রেফেনবার্গের চিকিৎসা গবেষণা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত ছিল। তিনি স্ত্রীরোগবিদ্যার বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করলেও তার গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল নারীর যৌন স্বাস্থ্যের উন্নয়ন। তিনি মূলত "জি-স্পট" সম্পর্কে তার তত্ত্বের জন্য পরিচিতি লাভ করেন।
"জি-স্পট" এবং নারীর যৌনতা
[সম্পাদনা]১৯৫০-এর দশকে আর্নস্ট গ্রেফেনবার্গ এমন একটি অঞ্চলের অস্তিত্ব সম্পর্কে গবেষণা প্রকাশ করেন, যা নারীদের যোনি প্রাচীরে বিশেষভাবে সংবেদনশীল। এই অঞ্চলটি যৌন উত্তেজনার সময় শারীরিক ও মানসিক তৃপ্তি প্রদান করতে সক্ষম। পরবর্তীতে এই অঞ্চলটি তার নামানুসারে "গ্রেফেনবার্গ স্পট" বা সংক্ষেপে "জি-স্পট" নামে পরিচিতি লাভ করে। যদিও এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে, তবুও গ্রেফেনবার্গের এই তত্ত্ব যৌন স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
জন্মনিয়ন্ত্রণে অবদান
[সম্পাদনা]জার্মানির বিখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে আর্নস্ট গ্রেফেনবার্গ জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যও পরিচিত। তিনি প্রথমদিকে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ইন্ট্রাইউটেরিন ডিভাইস (IUD) ব্যবহার শুরু করেন। তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিগুলি পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়।
নাৎসি শাসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন
[সম্পাদনা]১৯৩৩ সালে নাৎসি জার্মানিতে ইহুদিদের উপর অত্যাচার শুরু হলে আর্নস্ট গ্রেফেনবার্গ সেই নির্যাতনের শিকার হন। তিনি ১৯৪০ সালে জার্মানি থেকে পালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। সেখানে তিনি তার চিকিৎসা গবেষণা ও চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যান।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]আর্নস্ট গ্রেফেনবার্গ ১৯৫৭ সালের ২৮ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন। যৌন স্বাস্থ্য ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে তার অবদান তাকে বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ করেছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ O'Connell, H. E. (২০০০)। "Anatomy of the clitoris"। The Journal of Urology। 163 (6): 1911–1915। ডিওআই:10.1016/s0022-5347(05)67518-7।
- ↑ Addiego, F. (১৯৮২)। "Female ejaculation: a case study"। The Journal of Sex Research। 11 (4): 291–297। ডিওআই:10.1080/00224498209551114।
- ↑ Sherfey, Mary Jane (১৯৭২)। The Nature and Evolution of Female Sexuality। Random House। আইএসবিএন 9780394473580
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)। - ↑ Ladas, A. (১৯৮২)। The G Spot and Other Discoveries About Human Sexuality। Holt, Rinehart and Winston। আইএসবিএন 9780030623966
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)।